Admission
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) - উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত মোটরের বর্ণনা

৩.১.১৭ উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত মোটরের বর্ণনা:

উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে মূলত দু'টি মোটর থাকে। একটি কম্প্রেসর মোটরএবং অপরটি ব্লোয়ার মোটর ।

কম্প্রেসর মোটর (Compressor Motor) : 

এটি একটি হার মেটিক মোটর যা রেসিপ্রোকেটিং বা রোটারি টাইপ হয়ে থাকে। এ মোটরগুলো সাধারণত ক্যাপাসিটর রান মোটর বা পার্মানেন্ট স্প্লিট ক্যাপাসিটর মোটর হয়ে থাকে। 

মোটর আকারে বড় হলে বা কোনো কারণে স্টার্টিং টর্ক কম হলে ক্যাপাসিটর স্টার্ট এবং ক্যাপাসিটর রান মোটর ব্যবহার করা হয়। এ মোটরে তিনটি টার্মিনাল থাকে (১) কমন (২) স্টার্ট (৩) রান। স্টার্ট ওয়েন্ডিং- এর সাথে সিরিজে একটি রান ক্যাপাসিটর সংযুক্ত থাকে, স্টার্ট ক্যাপাসিটর সংযোগ করলে রান ক্যাপাসিটরের প্যারালালে পটেনশিয়াল রিলে দিয়ে সংযোগ করতে হয়। কম্প্রেসর মোটরে স্টার্টিং, রানিং ওয়্যান্ডিং, স্টেটর ও রোটর থাকে।

সেটের স্থির অবস্থায় থাকে বাতে মোটরের ভরাজিং (রানিং ও স্টার্টিং) পেচানো থাকে। রোটর ঘূর্ণারমান ।

ব্লোয়ার মোটর (Blower Motor ) 

ব্লোয়ার মোটর দু'ধরনের হয়ে থাকে- 

১। শেডেড গোল মোটর 

২। মাল্টি স্পিড ক্যাপাসিটর রান মোটর রোরার মোটরের এন্ড ক্যান্স, রোটর, গুয়ান্ডিং ও শ্যাফট থাকে।

১। শেডেড গোল মোটর: 

শেডেড পোল মোটরে একটি ওয়্যান্ডিং থাকে। স্টার্টিং করেলের পরিবর্তে এতে শেডিং (Shading) কয়েল থাকে। এর স্টার্টিং টর্ক খুব কম। কম ক্ষমতার এয়ার কন্ডিশনারে এটি ব্যবহৃত হয়। এ মোটরের টার্মিনাল সংখ্য খুব কম। দুই পতির মোটরে তিনটি টার্মিনাল থাকে কমন বা রান, হাই এবং লো। A = মোটর, B = মোটর সাপোট ব্রাকেঁস, C= মাউন্টিং প্লেট, D = মোলডেড ফ্যান।

পারমানেন্ট স্প্লিট ক্যাপাসিটর মোটর (Permanent Split Capacitor Motor or PSC Motor) 

এতে রানিং ও স্টার্টিং ওয়ান্ডিং থাকে। এর স্টার্টিং র্যান্ডিং-এর সাথে সিরিজে একটি রান ক্যাপাসিটর সংযুক্ত থাকে এতে মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা থাকে। এ ধরনের মোটর অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষমতা ও গতিসম্পন্ন হয়। দুই গতি মোটরে চারটি পোল এবং তিন গতির জন্য পাঁচটি গোল থাকে। অধিকাংশ এয়ার কুলারে এটি ব্যবহার করা হয়।

২। মাল্টি স্পিড ক্যাপাসিটর রান মোটর: 

এই মোটরটি ওপেন টাইপ। স্টার্টিং - এর সাথে একটি রান ক্যাপাসিটর সিরিজে সংযুক্ত থাকে। মোটর গুলো দুই বা তিন গতির হয়। দুই গতির মোটরে চারটি লোপ থাকে এবং তিন গতির মোটরে পাঁচটি লোপ থাকে। সিলেক্টর সুইচের সাথে বিভিন্ন গতির লোপগুলো সংযুক্ত থাকে এবং সিলেক্টর সুইচ ঘুরিয়ে গতি কম-বেশি করতে হয়। মোটরের রোটর শ্যাফটের ইভাপোরেটর প্রান্তে একটি এবং কন্ডেনসার প্রান্তে একটি ফ্যান লাগানো থাকে। উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে এ মোটর ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

                            চিত্র ৩.১১: মাল্টি স্পিড ক্যাপাসিটর রান মোটর

 

 

ফ্যান মোটর (Fan Motor) পরীক্ষা পদ্ধতিঃ 

উইন্ডো এয়ার কুলারের ফ্যান মোটর পরীক্ষা করতে হলে প্রথমে এয়ার কুলার চালাতে হবে। যদি বায়ুপ্রবাহ কম হয় তবে কন্ডেনসার, ইভাপোরেটর ও ফিল্টার পরীক্ষা অর্থাৎ সার্ভিসিং করতে হবে। এতে বাতাস পরিমিত গতিতে না আসলে নিচের কাজ গুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে- 

১। ফ্যানের গতি কম হলে বুশ পরীক্ষা করতে হবে 

২। বুশ ভালো থাকলে ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করতে হবে 

৩। ফ্যান না চললে ফ্যান মোটর পরীক্ষা করতে হবে 

৪। প্রয়োজনে ফ্যানের ব্লেড পরীক্ষা করতে হবে।

 

ফ্যান ব্লেড ও বুশ পরীক্ষা : 

ফ্যান হাত দিয়ে ঘুরিয়ে এর ব্যালেন্সিং (Balancing) লক্ষ্য করতে হবে এবং শব্দ অনুধাবন করতে হবে । শব্দ বা ভারসাম্য লক্ষ্য করে বোঝা যাবে বিয়ারিং বা ব্লেড ভাঙ্গা আছে কিনা। প্রয়োজনে বেয়ারিং বা বুশ বা ব্লেড পরিবর্তন করতে হবে।

ক্যাপাসিটর (Capacitor Test) পরীক্ষা:

অ্যাডোমিটার (AVO) ৰা ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার দিয়ে ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করতে হবে। যদি ক্যাপাসিটর নষ্ট বা খারাপ হয় ভৰে ভা পরিবর্তন করতে হবে।

টার্মিনাল (Terminal Test) পরীক্ষা: 

সার্কিটের ফ্যান মোটরের তারগুলো রানিং স্টার্টিং, হাই (High), মিডিয়াম (Medium), ा (Low) ইত্যাদি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। অতঃপর সিলেকটর সুইচ ও ক্যাপাসিটর হতে ফ্যানের ভারের লুপগুলো খুলতে হবে। সর্ব প্রথম বডি পরীক্ষা করতে হবে। ওয়্যান্ডিং বডি না হলে স্টার্টিং ও রানিং এর গ্রহন মেখে নিম্নবর্ণিত সারণির সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে ওয়্যান্ডিং সঠিক আছে কিনা।

 

 

Content added By
Promotion